Tuesday 3 November 2020

প্রশ্নঃ প্রত্যেক বিদআতই কি গোমরাহী? সাহিহ বিদআতি দের পোস্টমর্টেম By Mufti Ak Azad Al Qadri

 প্রশ্নঃ প্রত্যেক বিদআতই কি গোমরাহী? সাহিহ বিদআতি দের পোস্টমর্টেম


উত্তর : এক বিশেষ শ্রেণির নামধারী সাহিহ শাইখ সুযোগ পেলেই সুর ধরে একটি হাদীস শরিফের একটি টুকরো সুর ধরে পাঠ করে। কুল্লু বিদাতিন দ্বালালাহ, কুল্লু দ্বালালাহ ফিন নার ....।

নি:সন্দেহে হাদিসটি সহিহ তবে ব্যাখ্যাসাপেক্ষ। তারা কেবল এই হাদিসটি দিয়ে সবকিছুই বিদআত সাব্যস্ত করতে চান। বিদআতের কোন ভাগ মানতে চান না। অথচ কোন বিষয়ে কেবল একটি হাদিস দিয়েই চূড়ান্ত নীতি গ্রহণ করা মারাত্মক বিভ্রান্তি। সেই বিষয়ে আরও কোন দলিল থাকলে সবগুলো সামনে রেখে সিদ্ধান্তগ্রহণ বাঞ্চনীয়।

যারা উক্ত হাদিস দিয়ে সবকিছু বিদআত বলতে চান, বিদআতকে ভাগ করতে চাননা, তাদের যখন হযরত ওমর এর নিম্নোক্ত বক্তব্য نعمت البدعة هذه তথা ‘এটি কতইনা উত্তম বিদআত!’ [মু'আত্তাই ইমাম মালেক রহ.] দেই, যা তিনি সাহাবাদের জামাতবদ্ধ হয়ে তারাবীহ নামাজের ক্ষেত্রে বলেছিলেন তখন তারাই আবার বিদআতকে শাব্দিক ও পারিভাষিক ভাগ করে ফেলেন।

মূলত “প্রত্যেক বিদআতই পথভ্রষ্টতা” এই হাদিসটিকে অসংখ্য মুহাদ্দিস عام مخصوص منه البعض তথা ব্যাপক বিষয় থেকে কিছু আলাদা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। সহজ কথায় এটি দ্বারা আমভাবে সব বিদআতকেই গোমরাহ বলা যাবে না, বরং অন্যান্য দলিল দ্বারা কিছু বিষয় খাছ তথা গোমরাহমুক্ত বিদআত বলা হবে। নচেৎ অসংখ্য সাহাবাও বিদআতী সাব্যস্ত হবেন।

নিচের হাদিসটি লক্ষ্য করুন-
مَنْ سَنَّ فِى الإِسْلاَمِ سُنَّةً حَسَنَةً فَعُمِلَ بِهَا بَعْدَهُ كُتِبَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِ مَنْ عَمِلَ بِهَا وَلاَ يَنْقُصُ مِنْ أُجُورِهِمْ شَىْءٌ وَمَنْ سَنَّ فِى الإِسْلاَمِ سُنَّةً سَيِّئَةً فَعُمِلَ بِهَا بَعْدَهُ كُتِبَ عَلَيْهِ مِثْلُ وِزْرِ مَنْ عَمِلَ بِهَا وَلاَ يَنْقُصُ مِنْ أَوْزَارِهِمْ شَىْءٌ ».
যে ব্যক্তি ইসলামে কোন উত্তম রীতির প্রচলন করল অত:পর সে অনুযায়ী পরে আমল করা হল, যারা সে অনুযায়ী আমল করবে তার জন্য (উত্তম রীতির প্রচলনকারী) তাদের আমলের সমান সওয়াব লেখা হবে এবং আমলকারীদেরও কোন সওয়াব কমানো হবে না।
আর যে ইসলামে কোন মন্দরীতি চালু করল সে অনুযায়ী পরে আমল করা হল, যারা আমল করবে তাদের মন্দ আমল পরিমাণ তার জন্যও লেখা হবে এবং আমলকারীদের মন্দআমল থেকেও কমানো হবে না। [সহিহ মুসলিম]

লক্ষ্যনীয় হল ‘সব বিদআতই গোমরাহী’ হাদিসটিও সহিহ মুসলিম থেকে নেয়া। আগের হাদিস অনুযায়ী সব বিদাআত তথা নতুন রীতি গোমরাহ সাব্যস্ত হয় অথচ পরের হাদিসে উত্তমরীতি চালুর উৎসাহ দেয়া হয়েছে। বাহ্যিক দৃষ্টিতে উভয়ে বৈপরীত্য মনে হলেও ইমামগণ হাদিসদ্বয়ের সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন।

আসুন দেখি হাদিসবেত্তা ইমামগণ كُلُّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ বা “প্রত্যেক বিদআতই পথভ্রষ্টতা।” হাদিসটির ব্যাখ্যায় কি বলেছেন?* হাফেজ ইবনু হাজার আসকালানী বলেন-
والمراد بقوله : ( كل بدعة ضلالة ) ما أحدث ولا دليل له من الشرع بطريق خاص ولا عام "
অর্থাৎ- সব বিদআতই ভ্রষ্টতা দ্বারা উদ্দেশ্য হল প্রত্যেক নতুন আবিষ্কৃত বিষয় যার খাছ কিংবা আম কোন শরঈ দলিল নাই। [ফাতহুল বারী শরহুল বুখারী-১৩/২৫৪]
এ দ্বারা বুঝা যায় যে বিষয়ের কোন খাছ বা সুনির্দিষ্ট কিংবা আম বা ব্যাখ্যাসাপেক্ষ দলিল আছে তা ‘সকল বিদআতই গোমরাহী’ হাদিসের অন্তর্ভূক্ত নয়।

সহিহ মুসলিমের অন্যতম ব্যাখ্যাকার আল্লামা আবুল আব্বাস কুরতবী রহ. হাদিসটির ব্যাখ্যায় বলেন-
(( شر الأمور محدثاتها )) : يعني : المحدثات التي ليس لها في الشريعة أصل يشهد لها بالصحة والجواز ، وهي المسمّاة بالبدع ؛ ولذلك حكم عليها بأن كل بدعة ضلالة-
“নিকৃষ্ট বিষয় হল নতুন আবিষ্কৃত বিষয়াবলী। অর্থাৎ এমন নব আবিষ্কৃত বিষয় শরীয়তে তা সহিহ বা জায়েয হওয়ার কোন আসল বা দলিল নাই, তাকেই বিদআত বলা হয়। এজন্যই এর হুকুম দেয়া হয়েছে প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহী হাদিস দ্বারা।” [আল মুফহিম লিমা আশকালা মিন তালখীছি কিতাবে মুসলিম-৭/১৩৬]
উপরোক্ত ব্যাখ্যা থেকে বুঝা যায় শরীয়তে যার দলিল নাই সেটাই বিদআত তথা গোমরাহী। আর যেটার দলিল আছে তা বিদআত হবে না। উল্লেখ্য ঈদে মিলাদুন্নবীর অগণিত শরঈ দলিল আইম্মায়ে উম্মত দিয়েছেন। সুতরাং তা বিদআত হওয়ার অবকাশ নেই।

সহিহ মুসলিমের শ্রেষ্ঠ ব্যাখ্যাকার ইমাম নববী রহ. বলেন-
وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ هَذَا عَامٌّ مَخْصُوصٌ وَالْمُرَادُ غَالِبُ الْبِدَعِ قَالَ أَهْلُ اللُّغَةِ هِيَ كُلُّ شَيْءٍ عُمِلَ عَلَى غَيْرِ مِثَالٍ سَابِقٍ قَالَ الْعُلَمَاءُ الْبِدْعَةُ خَمْسَةُ أَقْسَامٍ وَاجِبَةٌ وَمَنْدُوبَةٌ وَمُحَرَّمَةٌ وَمَكْرُوهَةٌ وَمُبَاحَةٌ-
প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহী এটি আম (বক্তব্য হলেও) এর থেকে কিছু বিষয় খাছ করা হয়েছে। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল বেশিরভাগ বিদআত গোমরাহী। ভাষাবীদগণ বলেন বিদআত হল প্রত্যেক এমন বিষয় যা পূর্ব নমুনা ছাড়া আমল করা হয়। ওলামাগণ বলেন বিদআত পাঁচ প্রকার, ওয়াজিব, মানদূব, হারাম, মাকরূহ এবং মুবাহ...।
[শরহে মুসলিম-৬/১৫৪]

তিনি অন্যত্র আরও ব্যাখ্যা করেন-
(مَنْ سَنَّ فِي الْإِسْلَامِ سُنَّةً حَسَنَةً فَلَهُ أَجْرُهَا) إِلَى آخِرِهِ فِيهِ الْحَثُّ عَلَى الِابْتِدَاءِ بِالْخَيْرَاتِ وَسَنِّ السُّنَنَ الْحَسَنَاتِ وَالتَّحْذِيرُ مِنَ اخْتِرَاعِ الْأَبَاطِيلِ وَالْمُسْتَقْبَحَاتِ ......... وَفِي هَذَا الْحَدِيثِ تَخْصِيصُ قَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ وَأَنَّ الْمُرَادَ بِهِ الْمُحْدَثَاتُ الْبَاطِلَةُ وَالْبِدَعُ الْمَذْمُومَةُ-
যে ব্যক্তি ইসলামে কোন উত্তম রীতির প্রচলন করল তার জন্য প্রতিদান রয়েছে....... হাদিসের শেষ পর্যন্ত। এ হাদিসে উত্তম কাজের সূচনা করতে, উত্তম রীতি প্রচলন করতে উৎসাহ দেয়া হয়েছে এবং বাতিল-ঘৃণ্য বিষয়াবলী উদ্ভাবন করা থেকে সতর্ক করা হয়েছে। এই হাদিসটি রাসূল ﷺ এর অন্য হাদিস ‘প্রত্যেক নবআবিষ্কৃত বিষয় বিদআত এবং প্রত্যক বিদআতই গোমরাহী’ হাদিসটিকে খাছ করেছে। (প্রত্যক বিদআতই গোমরাহী) হাদিস দ্বারা উদ্দেশ্যে হল বাতিল উদ্ভাবিত বিষয় এবং নিন্দনীয় বিদআতসমূহ। [শরহে মুসলিম-৭/১০৪]

এই ব্যাখ্যা থেকেও বুঝা গেল ‘সব বিদআতই পথভ্রষ্টতা’ দ্বারা প্রত্যেক মন্দ বিদআত ভ্রষ্টতা উদ্দেশ্য। উত্তম বিদআত নয়।


* ইমাম মোল্লা আলী কারী রহ. বলেন-
وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ- أَيْ: كُلُّ بِدْعَةٍ سَيِّئَةٍ ضَلَالَةٌ لِقَوْلِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ: " مَنْ سَنَّ فِي الْإِسْلَامِ سُنَّةً حَسَنَةً فَلَهُ أَجْرُهَا وَأَجْرُ مَنْ عَمِلَ بِهَا "
‘প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহী অর্থাৎ প্রত্যেক মন্দ বিদআতই গোমরাহী। যেহেতু রাসূলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ইসলামে কোন উত্তম রীতির প্রচলন করল তার জন্য তদানুযায়ী আমলকারীদের সমান প্রতিদান রয়েছে।’ [মিরকাত শরহে মিশকাত-১/২২৩]


উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা বুঝা যায়-
=> প্রত্যেক বিদআত তথা নব আবিষ্কৃত বিষয়ই গোমরাহী নয়
=> ‘প্রত্যেক বিদআত গোমরাহী’ হাদিসটির অর্থ হল প্রত্যেক মন্দ বিদআত গোমরাহী, উত্তম বিদআত নয়
=> ইসলামে উত্তম রীতি চালু করা স্বয়ং নবীজি ﷺ কর্তৃক অনুমোদিত
=> বিদআত তথা নতুন রীতি যার সরাসরি বা ব্যাখ্যামূলক দলিল কুরআন-সুন্নায় আছে তা মন্দ নয়
=> বিদআতকে ভাল-মন্দ দুইভাগে বিভক্ত করা উম্মতের গ্রহণযোগ্য ইমামগণ দ্বারা সাব্যস্ত
[ Collected & Edited]

Thursday 11 June 2020

মুক্তিদাতার জীবনকথা [ নবীসম্রাট এর সীরাত ] : পর্ব ১

মুক্তিদাতার জীবনকথা [ নবীসম্রাট এর সীরাত ] : পর্ব ১
লেখক: মুফতী মুহম্মাদ আবুল কালাম আযাদ আল কাদরী [ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুলাম]


       সীরাত অর্থ জীবনী। এই সিরাতের হাত ধরে ইতিহাস নামক বিষয়টির ক্রমবিকাশ ও সুষমামন্ডন। প্রাচীনকালে ইতিহাস রচনা আরম্ভ হয়েছিল বটে। কিন্তু তা ছিল অসংলগ্ন ও অসম্পূর্ণ। মুসলিমরা সর্বপ্রথম নবীসম্রাট মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিরাত বা জীবনী কে কেন্দ্র করে প্রকৃত ইতিহাস রচনার ধারাক্রম শুরু করেন। নবীসম্রাট এর সিরাত রচনার জন্য সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেইগণ দ্বারে দ্বারে ধরনা দিয়ে হুজুর সম্পর্কিত সকল খুঁটিনাটি তথ্য অনুসন্ধান, সংগ্রহ ও লিপিবদ্ধ করেন। এরই সূত্র ধরে মুসলিমরা “আসমাউর রিজাল” নামক এমন এক উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন শাস্ত্র আবিষ্কার করেন যার মাধ্যমে 5 লক্ষ লোকের জীবনী জানা যায়। এরূপ দৃষ্টান্ত অন্য জাতির মধ্যে বিরল।


      যেহেতু সিরাত তথা ইতিহাসের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছেন নবীসম্রাট মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাই বিশ্ব ইতিহাসে এ পর্যন্ত কতজন তার সীরাত রচনা করেছেন তার পরিসংখ্যান বের করা দুঃসাধ্য বিষয়। সিরিয়ার দামেস্ক থেকে প্রকাশিত “আল মুক্তাবিশ” নামক পত্রিকায় আজ থেকে প্রায় 93 বৎসর পূর্বে একটি পরিসংখ্যানে বলা হয়েছিল যে কেবল ইউরোপের বিভিন্ন ভাষায় নবী সম্রাট সম্পর্কে প্রায় তেরশত গ্রন্থ লেখা হয়েছে। 93 বছর পর এই সংখ্যা বর্তমানে কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে তা অনুমান করাও প্রায় অসম্ভব। বাকি থাকল মধ্যপ্রাচ্যসহ অবশিষ্ট বিশ্বের কথা। লাখ লাখ সীরাত গ্রন্থের নিখুঁত পরিসংখ্যান দেওয়ার কথা ভাবতে পারি না বটে! তবে এটুকু অনায়াসে বলতে পারি যে নবীসম্রাটকে নিয়ে যত নিয়ে যত সিরাত রচিত হয়েছে, মানব ইতিহাসে দ্বিতীয় টি কাউকে নিয়ে এমন মহাকান্ড ঘটে নি। তিনি উপস্থিত বিশ্বজুড়ে। সকল ভাষায়। সর্বত্র। বিভিন্ন আঙ্গিকে। বিভিন্ন ব্যঞ্জনায়। বিভিন্ন প্রেক্ষিতে। এতে পুষ্ট হয়েছে বিশ্ব ইতিহাস। আর বিশ্ব সাহিত্য হয়েছে নবীসম্রাটের অনুপম ব্যক্তিত্বের মাধুরীতে বাংময়।

গ্রন্থ: বিদআত সম্পর্কিত বিতর্কের চির – নিরসন [ পর্ব ১ ]

গ্রন্থ: বিদআত সম্পর্কিত বিতর্কের চির – নিরসন [ পর্ব ১ ]
লেখক:। মুফতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ আল কাদরী #islamic_research_mission



বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।


ধর্মব্যবসায়ী দরবারী শাইখদের দুটি বিশেষ পরিভাষার ভ্রান্ত ও যথেচ্ছ অপব্যবহার মুসলিম উম্মার মধ্যে এমন দলাদলি, কোন্দল ও ঝগড়া-বিবাদের কৃষ্ণাভ পরিমন্ডল সৃষ্টি করেছে যে মুসলিমদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ গোমরাহির অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হয়েছে এবং সামগ্রিকভাবে মুসলিম উম্মাহ গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে দাড়িয়েছে। এই দুটি বিশেষ পরিভাষা হলো শিরক ও বিদআত। নরেন্দ্র মোদি বা তার পার্টির মন্ত্রী- নেতারা যেমন “পাকিস্তান”ও “মন্দির” এই শব্দদ্বয় ছাড়া 30 সেকেন্ড ভাষণ দিতে পারেন না, তেমনি একটি বিশেষ সম্প্রদায়ভুক্ত এই দরবারী শাইখ গণ “শিরক” ও “বিদআত” পরিভাষা দুটির ব্যবহার ছাড়া 30 সেকেন্ড কোনো বক্তব্য দিতে পারেন না। কথাই কথাই বিনা দ্বিধায় তারা শিরক ও বিদ’আত পরিভাষা দুটি প্রয়োগ করে মুসলিম উম্মাহর উপর বিদআতী ও মুশরিকের ফতুয়া চাপিয়ে দেন যা অত্যন্ত জঘন্য অজ্ঞতার পরিচায়ক।


এই সকল দরবারী আলেম এবং তাদের অনুগামী মৌলভীরা নিজেদের ধারণকৃত ভ্রান্ত ধারণা ও মনগড়া আকিদাকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষে কিছু সিলেক্টিভ হাদিসকে ব্যবহার করেন এবং এই হাদিস শরীফ সমূহের পরিপূরক ও ব্যাখ্যামূলক হাদিস শরীফ গুলো সম্পূর্ণ চেপে রাখেন। ঘুণাক্ষরেও সেই হাদীস শরীফ সমূহ তারা ব্যবহার করেন না। আবার যে সিলেক্টিভ হাদিসগুলো তারা ব্যবহার করেন, তাও আগে-পরের সম্পর্ক ছিন্ন করে এক বিশেষ অংশকে এমন কুশলতার সঙ্গে ব্যবহার করেন যে পাঠক বা শ্রোতা বর্গের নিকট মনে হয়, হাদিসের এই অংশই হচ্ছে মূল হাদিস। অথচ বাস্তবে তা হচ্ছে একটি দীর্ঘ হাদিসের অংশবিশেষ। এরূপ বিকৃতভাবে হাদিস শরীফ উপস্থাপিত হওয়ার ফলে সাধারণ মুসলমানগণ ভ্রান্ত ধারণার শিকার হন। এভাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস শরীফ কে নিয়ে চলে বিশাল তামাশা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম, আহলে বাইত এবং আউলিয়া কেরামের এরা নির্দ্বিধায় বেয়াদবি করেন। নিজেদের বিদআত ও বেয়াদবি কে অন্তরালে রাখতে তারা মুসলিম উম্মাহর উপর ঢালাওভাবে শিরক ও বিদআতের ফতোয়া প্রদান করেন। সুপরিচিত ও প্রসিদ্ধ সুন্নত, মুস্তাহাব এবং মুবাহ আমল কে বিদআত বলে বিরোধিতা করা এদের মৌলিক পরিচয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কখনো হাদিসের text এ এবং কখনো হাদিসের সনদে তারা হাদীস বর্ণনাকারীদের অপবাদ রটান এবং জয়ীফ হাদিস কে জাল হাদীস বলে প্রচার করেন। নিজেদের মতের বিপরীত হলে হাদীসটিকে জয়ীফ কিংবা জাল বলতে এদের জিহ্বা কাঁপে না।

[ চলবে ]

Saturday 6 June 2020

প্যান্ট ফোল্ড করে নামাজ পাঠ করা কি বৈধ ? Wearing Trousers Below The Ankle Without Pride

প্যান্ট ফোল্ড করে নামাজ পাঠ করা কি বৈধ ? Wearing Trousers Below The Ankle Without Pride




                                                       https://youtu.be/6rq4LckIdy8


Subscribe our Islamic Research Mission Youtube channel to get new videos on correct islamic aqeedah and deeds . link is given above.

Thursday 30 April 2020

আমি আহলে হাদীস ও জামাতে ইসলামী মতাদর্শ ছেড়ে সুন্নী কেন হলাম? শায়খ মুফতী মুহাম্মাদ এ কে আযাদ আল কাদরি


 আমি আহলে হাদীস ও জামাতে ইসলামী মতাদর্শ ছেড়ে সুন্নী কেন হলাম?  শায়খ মুফতী মুহাম্মাদ এ কে আযাদ আল কাদরি


               https://youtu.be/Yd4mIf7WmBQ




ভিডিও টি দেখুন ও আপনার মতামত দিন। আর অবশ্যই আমাদের ছ্যানেলে সাবসচ্রাইব করতে ভুল্বেন না